ক্ষমতা কাকে বলে? ক্ষমতার উপাদান গুলি আলোচনা করো। অথবা জাতীয় শক্তি কাকে বলে? জাতীয় শক্তির উপাদান গুলি আলোচনা করো।
প্রিয় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী, আজকে আমি ‘ক্ষমতা কাকে বলে? ক্ষমতার উপাদানগুলি আলোচনা করো?’ প্রশ্নটির উত্তর তোমাদের সাথে share করলাম। এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে ক্ষমতার সংজ্ঞা, ক্ষমতার উপাদান গুলি কি কি?জাতীয় শক্তি কাকে বলে? জাতীয় শক্তির উপাদান সম্পর্কে তোমরা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবে।
আমাদের আরো অনেক অন্যান্য শিক্ষামূলক পোস্ট রয়েছে সেগুলি পড়তে Google করুন Porasonarmoja ও আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে সমস্ত Materials পেয়ে যান খুব সহজেই।
ক্ষমতা কাকে বলে? ক্ষমতার উপাদানগুলি আলোচনা করো। অথবা, জাতীয় শক্তি কাকে বলে? জাতীয় শক্তির উপাদান গুলি আলোচনা করো।
ক্ষমতা কাকে বলে ?
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় এক গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো জাতীয় ক্ষমতা বা জাতীয় শক্তি। শক্তি বা ক্ষমতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো – Power যা ল্যাটিন শব্দ Potestas শব্দটি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, এর অর্থ হলো – সম ক্ষমতা।ক্ষমতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা যায় যে – ‘ক্ষমতা হল এমন এক সামর্থ্য বা ক্ষমতা, যার মাধ্যমে অন্যের মন ও কার্যের উপর নিয়ন্ত্রণ সাধন করা যায়’। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ ফ্রাঙ্কেলের মতে ‘ অন্যের মন ও কার্যের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে কাঙ্খিত ফল লাভ করার সামর্থই হলো ক্ষমতা’। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনার ক্ষেত্রে ক্ষমতার ধারণা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ক্ষমতার উপাদান গুলি সম্পর্কে আলোচনা কর ? জাতীয় শক্তির উপাদান গুলি সম্পর্কে আলোচনা কর?
ক্ষমতা বা শক্তির অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমূহ রয়েছে। ক্ষমতার উপাদানগুলি নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হলো-
১) শক্তি : শক্তি হলো ক্ষমতার সর্ব প্রধান গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এখানে সত্যি বলতে সামরিক, অর্থনৈতিক, বা রাজনৈতিক শক্তির কথা বোঝানো হয়েছে। এই ধরনের শক্তি প্রয়োগ করে অন্যদের প্রভাবিত করে কাঙ্খিত ফল লাভের কথা বলা হয়েছে।
২) জনসংখ্যা: জাতীয় ক্ষমতা বা জাতীয় শক্তির প্রধান উপাদান হলো জনসংখ্যা। একটি রাষ্ট্রের প্রগ্রতিতে সেই রাষ্ট্রের জনগণের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তৈরীর ক্ষেত্রেও জনগণ অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রাষ্ট্রের জনসংখ্যা জাতীয় শক্তির অন্যতম উপাদান হয়ে উঠেছে।
৩) সম্পদ: শক্তি বা ক্ষমতার মূল উপাদান হলো দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক সম্পদ গুলি। এই সম্পদ গুলি রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪) কূটনীতি : কূটনীতি বা Diplomacy হলো ক্ষমতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কূটনৈতিক সাফল্য লাভের মাধ্যমে দেশ আন্তর্জাতিক মঞ্চে শক্তিশালী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ক্ষমতা অর্জন করে।
৫) সামরিক শক্তি: সামরিক শক্তি হলো একটি রাষ্ট্রের জাতীয় শক্তি বা ক্ষমতার অন্যতম মূল উপাদান। যে দেশ যত বেশি সামরিকভাবে শক্তিশালী সেই দেশ তত বেশি ক্ষমতা বা শক্তির অধিকারী হয়। তাই সামরিক শক্তি জাতীয় শক্তির বা জাতীয় ক্ষমতার অন্যতম মূল একটি উপাদান।
৬) শিল্প: একটি রাষ্ট্রের যত বেশি শিল্প উন্নতি ঘটবে, সেই রাষ্ট্র তত বেশি ক্ষমতা বা শক্তির অধিকারী হবে। কারণ শিল্পের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে এবং সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হয়। তাই শিল্প জাতীয় শক্তি বা ক্ষমতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
একটি রাষ্ট্রের ক্ষমতা বা জাতীয় শক্তির আরো অনেক উপাদান সমূহ রয়েছে যেমন রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অবস্থান, জাতীয় চরিত্র, আন্তর্জাতিক স্তরে রাষ্ট্রের মর্যাদা, সরকার ইত্যাদি।